• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

মুলা চাষে কৃষকের মুখে হাসি

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩০ নভেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

চট্টগ্রামের চন্দনাইশের শঙ্খের চরে আগাম শীতকালীন সবজির মধ্যে মুলা বাজারে আসতে শুরু করেছে এতে কৃষকেরা কয়েকগুণ লাভবান হয়ে উঠেছেন বলে জানান, পাশাপাশি অন্যান্য শীতকালীন সবজির চাষাবাদ চলমান রয়েছে।

মাত্র ২ মাসের মাথায় হাইব্রিড মুলার চাষ করে কৃষকেরা বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছে।২০ থেকে ৩০ টাকা মূল্যে পাইকারী বাজারে মুলা বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় কৃষক কোরবান আলী বলেছেন, ১০ হাজার টাকা খরচ করে ২০ শতক জমিতে হাইব্রিড মুলার চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে ফলনের ৫০ শতাংশ বিক্রি করেই খরচের দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। পুরোপুরি বিক্রি হলে প্রায় দেড় লাখ টাকা বিক্রয়ের আশা করছেন তিনি। আগামী মৌসুমে চাষ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার । শুধু তিনি নন, এই চরে আরও ৫০ জনের অধিক কৃষক আগাম মুলার চাষ করেছেন এবং বাজারে বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন। চন্দনাইশে শীতের সবজি মুলা এবার আগে ভাগে বাজারে চলে এসেছে। উপজেলার দোহাজারী পৌরসভা এলাকায়,  রায়জোয়ারা,সাতবাড়িয়া,  বরমা, চরবরমা, বৈলতলীসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আগাম চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে কৃষকেরা বেজায় খুশি। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানা যায়, চন্দনাইশে ১২০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধাযর্য রয়েছে। ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়ে অধিক জমিতে আগাম সবজি চাষাবাদ হয়েছে। আগাম জাতের মুলা চাষের ফলন এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কৃষক আবুল কালাম বলেছেন , ১৫ শতক জমিতে আগাম মুলার  পাশাপাশি আরো বেশকিছু সবজির  চাষাবাদ করেছেন। বীজ রোপণের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে বর্তমানে ফলন এসে বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। মুলার আবাদের মধ্যেই এখন বারোমাসি মরিচ রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। মুলা বিক্রি শেষ হলে এরপর থেকে তিনি বাজারে আগাম মরিচ তুলতে পারবেন বলে আশা বাদ ব্যক্ত করেন ।

মোহাম্মদ খালির  এলাকার কৃষক মো.বাবুল বলেছেন, তিনি ৫০ শতক জমিতে মুলা চাষ করে এখন বিক্রি করতে শুরু করেছেন। কৃষি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেত থেকে কৃষকেরা মুলা তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেকে ক্ষেত থেকে তোলা মুলা ধুয়ে আঁটি বাঁধছেন বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য, অনেকে বাজারে মুলা বিক্রি করছে। কৃষকেরা বললেন, প্রতি একর মুলা চাষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে। আর বাজার মূল্য অনুযায়ী প্রতি একর ক্ষেতের মুলা বিক্রি করে পাওয়া যায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা।

পূর্ব দোহাজারীর কৃষক আবু জাফর বলেছেন, প্রতি কেজি মুলা পাইকারী বাজারে ২০ খেকে ৩০ টাকা  বিক্রি হচ্ছে। মুলার পাশাপাশি তিতকড়লা, লাউ, বরবটি ও অনেক শাকসবজি আবাদ করে বাজারজাত করেছেন তিনিসহ কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই চাষাবাদের খরচ উঠে গেছে বলে তিনি জানান। খরচের কয়েকগুণ লাভ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। উপজেলা

কৃষি কর্মকর্তা আজাদ হোসেন বলেছেন, মুলার পাশাপাশি চন্দনাইশে শঙ্খ নদীর চরসহ বিভিন্ন এলাকায় আগাম জাতের অনেক সবজি আবাদ হয়েছে। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে এবং মাঠে থেকে তাদের সহায়তা করে যাচ্ছি। আগাম এসব সবজির ফলনও হয়েছে ভলো । ভালো দাম পেয়ে চাষিরা অনেক বেশ খুশি ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads